আজকের পোস্টের মুল বিষয় হলো বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় তা সম্পর্কে। এছাড়াও আমরা বিড়ালের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি, নবীজির বিড়ালের নাম কি ছিল, বিড়ালের নাম কি রাখা যায়, বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয়, বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়, বিড়াল সম্পর্কে ৫টি বাক্য ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কেও আলোচনা করবো।
তাহলে চলুন জেনে নেই বিড়ালের বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে।
বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়
আমরা শখের বশে বা অন্যান্য বিভিন্ন কারনে অনেক সময় বাড়িতে বিড়াল পুষে থাকি। বিড়াল অনেক আদুরে এক ধরনের গৃহপালিত প্রানী। বিড়াল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এর স্বভাব এবং আচরন অনেক ভালো। অনেক সময় এই প্রানী ভয়ে আতংকে থাকে।
যার কারনে আমরা যখন তাকে ধরতে যাই তখন আমাদের শরীরে আচড় দিয়ে দেয়। আবার অনেক সময় কামড় দিয়ে দেয়। বিড়ালের জিহ্বায় কোনো ধরনের জীবানু থাকে না। কিন্তু তবুও বিড়াল আচড় দিলে বা কামড়ালে সমস্যা হতে পারে যে কারনে আমাদের ইনজেকশন বা ভ্যাক্সিন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
এখন চলুন জেনে নেই বিড়ালে আচড় দিলে কি ভ্যাক্সিন দিতে হয় তা সম্পর্কে। যদি বিড়াল আচড়ের পর কোনো প্রকার রক্তপাত না হয় তবে সেক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই। আচড় দেওয়া স্থান সাবান পানি দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
সবথেকে ভালো হয় যদি স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয় তবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে বিড়াল র্যাবিশ নামক ভাইরাসে আক্রান্ত থাকে। এখন আপনি বুঝবেন কিভাবে একটি বিড়াল র্যাবিশ ভাইরাসে আক্রান্ত আছে তা বোঝার জন্য কয়েকটি লক্ষন রয়েছে। লক্ষনগুলো নিম্নরুপঃ
- বিড়াল ঘন ঘন শ্বাস নিবে।
- মুখ দিয়ে লালা ঝরবে অনবরত।
- গলার স্বর পরিবর্তিত হয়ে যাবে।
- আক্রমনাত্নক হয়ে উঠবে।
যদি উপরোক্ত লক্ষন আছে এমন কোনো বিড়াল আচড় বা কামড় দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে ভ্যাক্সিন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। যেদিন আচড় দিবে সেদিনই ভ্যাক্সিন নিতে হবে। এরপর ৩,৫,৭ এইভাবে করে ভ্যাক্সিন নিতে হবে। তবে ভ্যাক্সিন নেওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
বিড়ালের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি
পূর্বে আমরা বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো বিড়ালের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। আপনাদের মধ্যে প্রায় সবাই বাসায় বিড়াল পুষে থাকেন। সেটা হতে পারে শখের বশে অথবা ভালোলাগার দিক থেকে।
আমরা সবাই জানি যে, বিড়াল অতি পবিত্র এক ধরনের প্রানী। বিড়াল যে বাসায় থাকে সে বাসাতে অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারেনা বলে জানা যায়। এখন চলুন জেনে নেই বিড়ালের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরুপঃ
- মেঝেতে গড়াগড়ি করে।
- বিড়াল ঘাস-পাতা খেয়ে থাকে অনেক সময়।
- অনেক সময় বিড়াল সবটুকু খাবার অনেক সময় খায় না।
- বিড়াল পা দিয়ে ঘষাঘষি করে।
- বিড়াল দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটায়।
নবীজির বিড়ালের নাম কি ছিল
পূর্বে আমরা বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানব আমাদের প্রিয় নবীজির নাম কি ছিল তা সম্পর্কে। আমাদের প্রিয় নবীজি বিড়াল পুষতেন। যার নাম ছিল মুয়েজ্জা। নবীজি যখন নামাজ পড়তেন তখন বিড়াল নবীজির পরিচ্ছেদের একাংশে ঘুমিয়েছিল। আমাদের নবীজি বিড়ালকে টেনে তোলেননি, লাথি দেন নি আবার ঘুম ভেঙ্গে যাবে ভেবে গায়ে হাত বুলিয়েও দেন নি।
বিড়ালের নাম কি রাখা যায়
পূর্বে আমরা বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানব বিড়ালের নাম সম্পর্কে। আমরা যারা বিড়াল পুষি তারা বিড়ালের বিভিন্ন ধরনের নাম দিয়ে থাকি। আবার এই নাম দিতে গিয়ে অনেক সময় অনেক চিন্তা ভাবনা করতে হয়। এখন চলুন জেনে নেই সুন্দর সুন্দর কিছু বিড়ালের নাম সম্পর্কে।
- জারা
- মালিক
- লায়লা
- হামজা
- ফাতিমা
- সুলতান
- আমির
- ইয়াসমিন
- আলি
- সাফিয়া
- জাবির
- রুমি
- খালিদ
- লতিফ
- হাফিজ
- সামির
- আমিনা
- ইদ্রিস
- জয়া
- জাহিদ
- হেনা
- করিম
- নাইমা
- নুর
- ইমান
- সাদিয়া
- আজিজা
- হান্নান
- আলিয়া
- জামিলা
- রাজা
- ফারিস
- আহমেদ
- রফিক
- সাদ
- নাইলা
- জাহারা
- আলাদ্দিন
- টিগার ইত্যাদি।
বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয়
পূর্বে আমরা বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো বিড়ালের নখের আচড়ে কি ধরনের সমস্যা হয় তা সম্পর্কে। বিড়ালের আচড়ে সবসময় সমস্যা হয় না। কিন্তু বিড়াল যদি কোনো রোগে আক্রান্ত থাকে এবং সেই অবস্থায় যদি আমাদের আচড় বা কামড় দেয় তবে সেক্ষেত্রে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখন চলুন জেনে নেই সমস্যাগুলো সম্পর্কে।
- সি এস ডি বা ফেলিনোসিস নামক সংক্রামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- আঘাতযুক্ত স্থানে ব্যথা হয়ে থাকে।
- ফোসকা হয়ে থাকে আচড়ের স্থানে।
- শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ দেখা দেয়।
- মাথা ব্যথার সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- জ্বরের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়
পূর্বে আমরা বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় হয় তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই বিড়াল কামড়ানোর কতদিনের মধ্যে টিকা দিতে হয় তা সম্পর্কে। আমাদের মধ্যে অনেকের বাড়িতে বেড়াল পোষা হয়ে থাকে। বেড়াল অতি আদুরে এবং ভদ্র একটি প্রানী।
এটি বাড়িতে থাকলে বাড়িতে অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না এমন টা মনে করা হয়। এছাড়াও বিড়াল বাসাবাড়িতে থাকা ইদুর মেরে বাড়ি পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেক সময় বিড়ালের আচরন পাল্টে যায়। বিচিন্ন জীবানু এবং ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমনে এই বিড়ালের স্বাভাবিক আচরন পাল্টে যায়।
বিড়াল স্বাভাবিক অবস্থায় যদি আমাদের আচড় দেয় বা কামড় দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো প্রকার ইনজেকশন দিতে হয় না। কিন্তু যদি কোনো রোগে আক্রান্ত থাকা অবস্থায় বিড়াল আমাদের আচড় দেয় বা কামড় মারে তবে সেক্ষেত্রে আমাদের ভ্যাক্সিন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। বিড়াল কামড়ানোর ২ দিনের মধ্যে ভ্যাক্সিন নিতে হয়।
বিড়াল সম্পর্কে ৫টি বাক্য
পূর্বে আমরা বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয় তা সম্পর্কে জেনেছি। এখন চলুন জেনে নেই বিড়াল সম্পর্কে ৫টি বাক্য সম্পর্কে জেনে নেই।
- বিড়াল অতি আদুরে গৃহপালিত প্রানী।
- বিড়াল দিনের প্রায় ১২-১৬ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকে।
- বিড়াল একটানা ১৬ বছর পর্যন্ত বেচে থাকে।
- বিড়াল সবথেকে পরিস্কার স্থান পছন্দ করে।
- বিড়াল দিনে ঘুমায় এবং রাতে জেগে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
আজকের পোস্ট থেকে আমরা বিড়ালের আঁচড়ে কি ভ্যাকসিন দিতে হয়, বিড়ালের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি, নবীজির বিড়ালের নাম কি ছিল, বিড়ালের নাম কি রাখা যায়, বিড়ালের নখের আচরে কি সমস্যা হয়, বিড়াল কামড়ালে কত দিনের মধ্যে টিকা দিতে হয়, বিড়াল সম্পর্কে ৫টি বাক্য ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জেনেছি।
আশা করি আজকের পোস্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন। আমরা এই ধরনের পোস্ট প্রতিনিয়ত আপনাদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করে থাকি। নিয়মিত পোস্ট পড়তে ওয়েবসাইট ফলোও করুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আরো দেখুন আজকের সোনার দাম বাংলাদেশ