একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় | বিস্তারিত সকল তথ্য জানুন

সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকে আমাদের পোস্ট এর বিষয় হল ফ্রিল্যান্সিং। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা জানতে চান একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি, মোবাইল দিয়ে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। আজকে আমরা এই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করব।
একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় | বিস্তারিত সকল তথ্য জানুন
একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় | বিস্তারিত সকল তথ্য জানুন
তাহলে চলুন জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন বিষয় এবং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে।

একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়

বর্তমানে বাইরের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সিং একটি অনেক পেশা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে লাখো যুবক এই পেশায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন। বর্তমানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করা যায়। যেমন-
  • ডাটা এন্ট্রি
  • আর্টিকেল রাইটিং
  • বিভিন্ন ধরনের লোগো ডিজাইন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন
  • ডিজাইন
  • কন্টেন্ট রাইটার
  • ওয়েব ডিজাইনার
  • এসিও এক্সপার্ট
  • গ্রাফিক্স ডিজাইনার ইত্যাদি
এসব কাজের পাশাপাশি আরো বিভিন্ন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। আজকে আমরা একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তা নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে অবগত নন। বর্তমানে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং আমাদের দেশেও আস্তে আস্তে পরিচিতি লাভ করছে।
আমাদের দেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বড় বড় কোম্পানী গুলোতে একাউন্টিং হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিপার্টমেন্ট বা বিষয়। এই একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের এপ্লিকেশন পাওয়া যায়।
এখন আমরা বিভিন্ন ধরনের এপ্লিকেশন সম্পর্কে জানবো, যার সাহায্যে আমরা একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং করতে পারি। চলুন জেনে নেই অ্যাপ্লিকেশনগুলো সম্পর্কে। এপ্লিকেশন গুলো হলঃ
  • Quickbooks online
  • Xero
  • Wave
  • Freshbook
  • Zohobook
  • Sage
একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আমাদের সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার এর সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান রাখতে হয় না। যে কোন এক থেকে দুইটির ব্যবহার যদি আমরা খুব ভালোভাবে করতে পারি তাহলেই আমরা একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং করতে পারব।
মোবাইল দিয়ে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় এর জন্য শুরুতে আমাদের উক্ত বিষয়ের যেসব সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে সেগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে। অবশ্যই ইংরেজি বলা এবং পড়া বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে। বাইরের দেশ এ বড় বড় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোম্পানি থাকে যারা তাদের কোম্পানিতে অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে কাউকে নিয়োগ দিয়ে রাখেন না।
তারা কি করেন বাইরের দেশের বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার সাইট গুলোতে থাকা সফল একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সারদের এ কাজ দিয়ে থাকেন। তাই বর্তমানে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই আপনিও চাইলে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

একটু আগে আমরা মোবাইল দিয়ে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় তা নিয়ে আলোচনা করলাম। এখন আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল সেক্টর নিয়ে আলোচনা করব। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে যেখানে একজন ব্যক্তি তার ক্যারিয়ার গঠন করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর সেই বিভিন্ন সেক্টর এর মধ্যে সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং এই সেক্টরে মূলত বিভিন্ন ধরনের পণ্য এবং বড় বড় কোম্পানিগুলোর গ্রাহকদের প্রতি যে সেবা প্রদান করেন তা প্রমোশন করিয়ে দেওয়া। এ কাজগুলো মূলত হয়ে থাকে অনলাইন ভিত্তিক। ডিজিটাল মার্কেটিং এই সেক্টরের মধ্যে আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে। ক্ষেত্রগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো। ক্ষেত্রগুলো হলঃ
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • অনলাইন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • ডাটা এনালাইসিস
  • ই-কমার্স মার্কেটিং
  • সিপিএ মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি।
বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং। বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে শো করাতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য নিয়ে থাকে। একটি রিপোর্টে দেখা গেছে ২০২০ সালে এই ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের সাইজ ছিল প্রায় ৩৫০-৩৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রতিনিয়ত এ ক্ষেত্রটি অনেক বড় হচ্ছে এবং নতুন ফ্রিল্যান্সাররা সবসময় এই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছা পোষণ করছেন।ডিজিটাল মার্কেটিং করতে তেমন পড়াশোনার দরকার হয় না, যে কারণে অনেক ছাত্র অথবা ছাত্রী অথবা বিভিন্ন পেশার মানুষ এই ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে যুক্ত হচ্ছেন।
যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের কাজগুলো খুব সহজ তাই এই কাজগুলো করতে তেমন একটা বেগ পেতে হয় না। তাই যারা বলেন একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, তাদের জন্য বলতে পারি একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিন।

ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে কি কি

ফ্রিল্যান্সিং এ প্রচুর সেক্টর রয়েছে। কিন্তু সবগুলো সেক্টরে কাজ করা সব সময় সহজ হয় না এবং সবগুলো সেক্টর তেমন জনপ্রিয় হয় না। যে কারণে যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন তারা যেসব জনপ্রিয় ফ্রিলান্সিং সেক্টর আছে সেগুলো দিয়ে শুরু করতে চান। এখন আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন জনপ্রিয় সেক্টর নিয়ে আলোচনা করব। নিম্নে সেক্টরগুলো আলোচনা করা হলোঃ
ডাটা এন্ট্রিঃ এই কাজে ক্লায়েন্ট আমাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে থাকে। সেই তথ্য থেকে মূল তথ্যগুলো বেছে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। এ কাজ করাকেই ডাটা এন্ট্রি বলা হয়। কিছু বছর পূর্বেও এই কাজের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। কিন্তু এখন সেটি তার জায়গা হারিয়ে কিছুটা নিচে নেমে গেছে।
আর্টিকেল রাইটিংঃ গুগলে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল বা কনটেন্ট বা ব্লগ প্রকাশ করতে হয়। বড় বড় ওয়েবসাইট গুলোতে তারা আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল রাইটার এর সাথে যোগাযোগ করে থাকেন। তাই যাদের আর্টিকেল রাইটিং সম্বন্ধে ধারণা ভালো আর্টিকেল রাইটিং করতে পারেন তারা চাইলে এই সেক্টরে নিজেদেরকে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এই সেক্টরটিতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য এবং সেবার প্রমোশন করা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় একটি সেক্টর। বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় এবং সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হচ্ছে এই ডিজিটাল মার্কেটিং। তাই যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন তারা চাইলে এই ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
কন্টেন্ট রাইটিংঃ কন্টেন্ট রাইটিং কে আর্টিকেল রাইটিং এর সাথে তুলনা করা যায়। আর্টিকেল রাইটিং হল সাধারণত বিভিন্ন ধরনের খবরে প্রকাশিত তথ্যসমূহ। কনটেন্ট রাইটিং হল বিভিন্ন ধরনের ভিডিও, বিভিন্ন পণ্যের তথ্য ইত্যাদি সম্পর্কিত। এই দুই সেক্টরকে প্রায় একই ধরা যায়।
ওয়েব ডিজাইনঃ আমরা প্রতিনিয়ত গুগলে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট দেখতে পাই। ওয়েবসাইটগুলোর থিম অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো অবস্থায় থাকে। ওয়েবসাইট গুলোর এই থিম সুন্দরভাবে গোছানোকেই বলা হয় ওয়েব ডিজাইন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ ওয়েব ডিজাইন একটি জনপ্রিয় সেক্টর।
এসিও এক্সপার্টঃ বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল অথবা ফেসবুক পেজ সঠিক কিওয়ার্ডের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে ইউটিউব, গুগল এবং ফেসবুকে রাঙ্ক করার মাধ্যমে এসিও এক্সপার্ট এর কাজ সম্পন্ন হয়। ফ্রিল্যান্সিং জগতে ডিমান্ডেবল সেক্টর এর মধ্যে এসিও এক্সপার্ট অন্যতম।
গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ এ কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন বড় কোম্পানির অথবা অন্যান্য বিভিন্ন ছোট বড় কাজের লোগো ডিজাইন, টি শার্ট ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদি করা হয়। যেন উক্ত ডিজাইনের দরুন কোম্পানিগুলো পরিচিত লাভ করতে পারে।
মোবাইল গেম ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমান সময়ে গেম ডেভেলপমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এই সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের গেমের ডিজাইন এবং তার খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে কাজ করা হয়।
Ui / Ux Design: Ui দ্বারা গ্রাহকের বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইট এর মূলপাতা বা ইন্টারফেস তৈরি করা হয়। Ux দ্বারা উক্ত অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ইউজার ফ্রেন্ডলি করা হয়। যেন গ্রাহকরা উক্ত অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ঝামেলার সম্মুখীন না হন।
3D কার্টুন আনিমেশনঃ এই কাজে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল অথবা টিভি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে থ্রিডি কার্টুন এনিমেশন করা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে উক্ত সেক্টর গুলো হলো জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন সেক্টর। যারা নতুন আছেন তারা চাইলে উক্ত সেক্টরগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি নিয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খুলব

অনেকেই প্রশ্ন করেন একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো। মোবাইল দিয়ে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় সম্পর্কে জানার আগে প্রথমে আমাদের জানা উচিত ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট কিভাবে খোলা হয়। ফ্রিল্যান্সিং থেকে আমরা যে কাজের প্রতি আগ্রহী হই না কেন, প্রতিটি কাজে আমাদের অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়।
সেই অ্যাকাউন্ট খুলতে আমরা যদি কোন ভুল করে থাকি তাহলে আমাদের প্রোফাইল শতভাগ ঠিকঠাক হয় না। যার কারণে আমরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোতে কাজ করতে পারি না। আবার কাজ পেলেও অনেক সময় পেমেন্ট পেতে অসুবিধা হয়।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একজন ব্যক্তি যে প্ল্যাটফর্মের ওপর কাজ করবেন তার ওপর ভিত্তি করে নিজের প্রোফাইল সম্পন্ন করতে হয়। তাহলে সে ক্ষেত্রে কাজ পাবার সম্ভাবনা এবং সফলতার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এখন চলুন জেনে নেই কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট খোলা যায়। নিয়মগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
  • প্রথমত নাম এবং ঠিকানা সঠিকভাবে দিতে হবে।
  • ইমেইল ঠিকানা দিতে হবে।
  • প্রতিদিনের ব্যবহার করা ফোন নম্বর দিতে হবে।
  • যদি ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর নাম্বার চাওয়া হয়, তবে তা দিতে হবে।
  • আমরা যে বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করব, সেটা নিয়ে কিছু তথ্য দিতে হবে।
  • ইমেইল ভেরিফিকেশন করে আমাদের আইডি অ্যাপ্রুভ করে নিতে হবে।
উক্তভাবে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। তবে যদি কখন আমরা সমস্যার সম্মুখীন হয় তখন ইউটিউব এর থেকে হেল্প নিতে পারি।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবগুলো কাজ শুধুমাত্র যে ডেক্সটপ দিয়ে করা যায় তা নয়। অনেক কাজ আছে যা মোবাইল দিয়েও করা সম্ভব। তবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন কাজ করার সময় আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। আমরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কাজগুলো মোবাইল দিয়ে করতে পারব তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
  • ইউটিউবিং
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ব্লগিং
  • ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি।
উক্ত কাজসমূহ আমরা চাইলে মোবাইলের মাধ্যমেও করতে পারি। সে ক্ষেত্রে আমাদের ভালো মানের একটি মোবাইল এবং সেই সাথে নেট সংযোগ থাকা প্রয়োজন।

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত

এক জরিপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর সংখ্যা প্রায় ৭ লাখের কাছাকাছি। আরো বলা হয়েছে ফ্রিল্যান্সিং খাতে বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত আয় প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের মত। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এখন ফ্রিল্যান্সার সরবরাহে ২য় অবস্থানে রয়েছে। অর্থাৎ বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাপক পদচারণা রয়েছে।
আমেরিকার পর আমাদের বাংলাদেশ হল সবচেয়ে বেশি ফ্রিল্যান্সার সরবরাহকারী দেশ। গত কয়েক বছর আগের একটি জরিপ থেকে জানা যায় ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ ৮ম অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ২য় তে। অর্থাৎ বাংলাদেশ আয়ের দিক থেকে এখন দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?

মোবাইল দিয়ে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর আমাদের ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে উঠানো হয় তা সম্পর্কে জানা দরকার। ফ্রিল্যান্সিং কাজে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে একাউন্টগুলো সাধারণত বিকাশ অথবা রকেট এর মতন হয়ে থাকে না।
এই অ্যাকাউন্টগুলো ডলার হিসেবে আমাদের ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা সেখানে যুক্ত করতে থাকে। এরকম কতগুলো ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত তালিকা নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
  • পাইওনির (payoneer)
  • পেইপাল (Paypal)
  • ওয়াইস (Wise)
  • ব্যাংক ডিপোজিট (Bank-Deposit)
  • স্ক্রিল (Skrill)
  • ওয়েব-মানি (WebMoney)
এছাড়া বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক রয়েছে যেখানে ফ্রিল্যান্সারদের টাকা লেনদেন করার জন্য সুবিধার জনক বলে মনে করা হয়। ব্যাংক সমূহের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
  • ইসলামী ব্যাংক
  • সিটি ব্যাংক
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক
  • ব্যাংক এশিয়া
  • ব্রাক ব্যাংক

লেখকের মন্তব্য

আজকের পোস্ট থেকে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানলাম। বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো বা মোবাইল দিয়ে একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং শেখার উপায়, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে কি কি ইত্যাদি সম্পর্কে।
আশা করি আজকের পোষ্ট থেকে আপনি আপনার মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন।আমরা এই ধরনের মূল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ নানা রকম পোস্ট প্রতিনিয়ত আপনাদের উদ্দেশ্যে শেয়ার করে থাকি। আমাদের পোস্টগুলো পড়তে পেজ ফলো করুন এবং সব সময় আমাদের সাথেই থাকুন।

Leave a Comment